হিয়ার মাঝে - bhuapurnews24

হিয়ার মাঝে পর্ব ২৬

হিয়ার মাঝে

হিয়ার মাঝে পর্ব ২৬
আর্শিয়া ইসলাম হিয়া

শুভলং আর্মি ক্যাম্পের পাশে এসে নৌকা থামলো রাদ-দের। নৌকা থেকে নামলো ওরা সবাই। নামার পর শুভলং বাজারে প্রবেশ করে ওরা। বাজারে মাঝ দিয়েই পাহাড়ে উঠার রাস্তা আছে। বাজারে জনসমাগম ততটা বেশি না হলেও, লোকজন আছেই। সবাই একসারি হয়ে হাটছে। রাদ আর ইহসাস দুই ভাই দুপাশে। মাঝখানে রায়া, হিয়া, নাতাশা।

পাহড়ে উঠার জন্য প্রথমে সিড়ি আছে। সিড়ি ভেঙে ওরা উপরে উঠতে থাকে। শুভলং পাহাড়ের উচ্চতা ২হাজার ফুট। ওরা সিড়ি ভেঙে উপরে উঠার পর সিড়ি শেষ হলে মাটির রাস্তা শুরু। ওরা হাঁপিয়ে যায় মোটামুটি। হিয়া হাটুতে দুহাত ভর দিয়ে একটু উবু হয়ে জোড়ে শ্বাস নেয়। রায়ার পাহাড় ট্র্যাকিং এর অভ্যাস আগে থেকেই আছপ বিধায় তার একটু কষ্ট কম অনুভব হচ্ছে। নাতাশা তো মাটিতেই ধপ করে বসে পরে৷ ইহসাস ওদের এই অবস্থা দেখে বলে,

আরও পর্ব গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন  

“এটুকুতেই হাঁপিয়ে হাপিত্যেশ শুরু করছিস বাতাসা? আরও পথ বাকিই আছে।”
“তুই চুপ কর ভাইয়া।”
“হাঁপিয়ে গেলেও ঝগড়া করার তেজ কমেনি।”
নাতাশা ঠোট ভেঙচি দেয় ইহসাস কে। ইহসাস হিয়ার উদ্দেশ্যে বলে,
বেয়াইন সাহেবার দেখছি তেজ শেষ তেজ শুধু আমার সাথে ঝগড়া করার জন্য।”

হিয়া উত্তর দেয় না। সে বড়ো করে নিঃশ্বাস নিতে ব্যস্ত। ইহসাস নিজের ব্যাগপ্যাক থেকে পানির বোতল বের করে ঠোট লাগিয়ে চুমুক দিয়ে খেতে শুরু করে। তার পানি খাওয়া শেষ না হতেই দেখে হাত থেকে পানির বোতল হাওয়া। সে চোখ ঘুরিয়ে দেখে পানির বোতলে হিয়া চুমুক বসিয়েছে। সে হা করে তাকিয়ে রয়। এটা কি হলো! এই মেয়ে তখন শাঁসালো প্রপোজ করায়।

এখন নিজেই পানির বোতল কেড়ে নিয়ে চুমুক বসিয়েছে। হিয়া এক চুমুকে পানির বোতল ফাকা করে ইহসাসের হাতে ধরিয়ে দেয়। এরপর হাটা ধরে সামনের দিকে রাদ আর রায়া ইতিমধ্যে হাটা শুরু করে দিয়েছে৷ রায়া আগে আগে হনহনিয়ে হাটছে, তার পুছু রাদ। নাতাশা হিয়াকে যেতে দেখে সে বসা থেকে উঠে হিয়ার পিছু দৌড় ধরে বলে,

“এই মপয়ে, আমায় ফেলে যাচ্ছো কেনো?”
“তুমি বসে থাকো!”
“তুমি এখনও রেগে আছো আমার উপর? তখনকার ঘটনার জন্য? ”
নাতাশা দৌড়ে এসে হিয়ার পাশে হাটতে হাটতে প্রশ্নটা করে। হিয়া বলে,
“কোম ঘটনার জন্য?”

“আরে আমি যে তোমায় প্রপোজ করলাম সেটা নিয়ে।”
ইহসাসও পিছন থেকে দৌড়ে এসে হিয়ার একপাশে হাঁটা শুরু করেছে। তখনই কথাটা বলে ইহসাস। হিয়া কোমড়ে হাত দিয়ে দাড়িয়ে যায়। তার সাথে সাথে ইহসাস আর নাতাশাও থামে। সে রুঢ় কণ্ঠে বলে,
“আপনি থেকে সেজা তুনিতে নেমেছেন? প্রপোজ করেই এতো উন্নতি?”
“ইহসাস অলওয়েজ ফাস্ট।”

ইহসাস নিজপর শার্টের কলার তুলে ভাব নিয়ে কথাটা বলে। নাতাশা মুখে হাত দিয়ে ভাইকে প”চাতে বলে,
“তুই ফাস্ট না ফা”স। যেখানে সেখানে ফে”সে যাস শুধু। তখন তোদের না থামালে ওখানপই তো যু”দ্ধ শুরু করে দিতি তোরা।”
হিয়া ওদের দুজনের উদ্দেশ্যে বলে,

“তোমরা দুটো মানুষই বেকার। একদম যা তা।”
সে দৌড়ে গিয়ে বোনের পাশে দাড়িয়ে হাটতে শুরু করে। রায়া বোনকে দেখে জিগাসা করে,
“হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে কোনো?”
“একটু গরম লাগছে আপু।”
“জ্যাকেট খুলে ব্যাগে তুলে নে। ওরনা পেঁচিয়ে নে গলায়।”

হিয়া লেডিস জিন্স আর কাফতান পরেছিলো বোনের মতোই। এর উপর পাতলা একটা জ্যাকেট পরে নিয়েছিলো সে। হিয়া রায়ার কথামতো জ্যাকেট খুলে ওরনা পরে নেয়। দুজনেই পাশাপাশি হাঁটতে থাকে। হিয়া তখনই ওদের মাঝেই বাংলা বাদ দিয়ে ফরাসী ভাষায় জিগাসা করে,

“ব্রোর সাথে কথা বললি, রাদ ভাইয়ার সামনে। ভাইয়া কিছু বলেনি তোকে? আমার যতোদূর ধারণা রাদ ভাইয়াকে তুমি কিছু বলতে বাকি রাখোনি।”
রায়া বাংলা ভাষাতেই বলে,
“না।”

রাদ, ইহসাস আর নাতাশা খানিকটা ঘাবরে যায় দুবোনের কথা শুনে। হিয়ার মুখে হঠাৎ অন্য ভাষা। তারমাঝে রাদের নাম স্পষ্ট। রাদ বলে,
“তোমার বোনকে আমায় নিয়ে কিছু বললে?”
“না ভাইয়া। এমনিই মজা করছিলাম।”

হিয়া কথাটা এড়িয়ে যায়। রাদ বুঝতে পেরেও চুপ থাকে। ওরা হাটতে হাটতেই শুভলং পাহাড়ের চূড়ায় পৌছে যায়। হিয়া পাহাড়ের ধারঘেষে দাড়ায় দুহাত বিস্তৃত করে প্রকৃতির সান্নিধ্যে হারিয়ে যায়৷ দুচোখ বন্ধ করে প্রকৃতির কোলে বিমোহিত পরে হিয়া। ইহসাস মুগ্ধ দৃষ্টিতে প্রকৃতির মুগ্ধতায় ডু”বে যাওয়া হিয়াকে দেখতে ব্যস্ত। ফোনে হিয়ার কিছু ছবি তুলে নেয়৷ নাতাশা পাহাড়ের চূড়ায় ঘুরে ঘুরে দেখছে।

যেদিকে তাকাচ্ছে শুধু কাপ্তাই হ্রদের পানি আর পানি। মাঝে মাঝে ছোটো ছোটো পাহাড়৷ সবুজের সমারোহ আর পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দ। পুরো প্রকমতি যেনো মাতিয়ে রেখেছে। ইশ সবকিছু এতো সুন্দর কেনো! রায়াও মুগ্ধ হয়ে যায় সবটা দেখে। মানুষ কেনো যে নিজের দেশ রেখে বিদেশে পাড়ি জমায় ঘোরাঘুরি করতে। যতো টাকা খরচ করে বিদেশে যায়, তার অর্ধেকও লাগবেনা দেশের সৌন্দর্য ঘুরে দেখতে । নিজের দেশেই কত সুন্দর সুন্দর জায়গা। সেগুলো দেখা শেষ না করতেই মানুষ ভিনদেশে যেতে তৎপর হয়। রাদ রায়ার পাশে দাড়িয়ে প্রকৃতি আর প্রকৃতির মাঝে মুগ্ধ হওয়া স্ত্রী দুটোই দেখতে ব্যস্ত। রায়া যখন বুকে হাত গুজে চারপাশ দেখতে ব্যস্ত, তখন রাদ বলে,

” রায়া!”
“কিছু বলবেন?”
রায়া না তাকিয়েই কথাটা বলে। রাদ উত্তরে বলে,
“বলুন না আমায়, কাল আপনাদের কি কথা হলো!”
“তেমন কোনো কথাই নয় রাদ সাহেব। শুধু তাকে ভালো থাকতে বললাম।”

“ভালোবাসার মানুষকে না পেয়ে আদৌও ভালো থাকা যায়?”
“যায়না, কিন্তু ভালোবাসার মানুষ টা ভালো আছে বুঝেও ভালো থাকার চেষ্টা করা যায়।”
“কিন্তু আপনি আদৌও ভালো আছেন তো?”
“আছি হয়তো ভালো।”
“রায়া?”
“হ্যাঁ! ”
“আপনাকে ভালোবাসি।”

রায়ার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। আচমকা রাদের মুখে ভালোবাসি শব্দটা তাকে অতীতে ফিরতে বাধ্য করায়। লুইস তো এভাবে বলেছিলো, ‘রেইন!’ সে হু বলতেই লুইস বলেছিলো, ‘লাভ ইউ।’ যেটার জন্য রায়া মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। যেমন টা সে আজকেও ছিলো না। কিন্তু সেদিন তো সময় নিয়ে হলেও লাভ ইউ টু বলেছিলো, আজ কি বলবে! সে তো রাদকে ভালোবাসে না।

রায়া চোখ বন্ধ করে নেয়। অতীতের করাঘাত থেকে বের হয়। চোখে অশ্রুকণা ভীড় জমায়। বেরিয়ে আসার জন্য উপচে পরার চেষ্টা করে। কিন্তু রায়া পাত্তা দেয়না তাদের। তার চোখ যে বড্ড অবাধ্য। না চাইতেও কারণে অকারণে জল এসে যায়৷ লুইস সেজন্য তাকে বাংলা ভাষাতেই ছিচকাদুনে বলতো।

সে কারণে অকারণে হাইপার হয়ে কেঁদে ফেলতো বলে, তার ফুফাতো বোনের থেকে জেনে নিয়েছিলো, হুটহাট এভাবে কান্না করা মেয়েদের বাংলায় কি বলে! তার কাছে শিখেছিলো লুইস৷ লুইসের কথা মনে আসতেই অজান্তেই মুচকি হাসে রায়া। রাদ রায়াকে নিস্তব্ধ হতে দেখে কিছু বলেনি, কিন্তু হাসতে দেখে বলে,

“আপনি হাসছেন কেনো রায়া?”
“কিছু সুন্দর মুহুর্ত মনে পরলো এজন্য। আমি লুইসকে কি বুঝিয়েছি শুনবেন?”
“বলুন!”

“ভালোবাসার মানুষকে তো চাইলেই ভুলে যাওয়া সম্ভব না। ভুলতে চাইলে, আরও বেশি মনে পরে। সুন্দর মুহুর্ত গুলো মনের কোণায় যত্ন করে রেখে সে যেনো মুভ ওন করে। এলভিনা তার ক্লাসমেট, তার মায়ের পছন্দের মেয়ে৷ তাকে যেনো বিয়ে করে। এলভিনা বড্ড ভালোবাসে লুইসকে। সেটা আমি সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ার পর বুঝতে পেরেছিলাম।

কিন্তু সরে আসতে পারিনি। অন্য কারোর ভালোবাসা কে”ড়ে নিয়ে হয়তো সুখ পাওয়া যায় না। সেজন্য আমিও তাকে পেলাম না। সে যেনো ভালো থাকে। আমায় ভালোবাসলে, সত্যিই যেনো সে এলভিনাকে বিয়ে করে নেয়। আমি জানি এলভিনা ঠিক পারবে লুইসকে ভালো রাখতে৷”
“অন্যের ভালোবাসা কেড়ে নিয়ে ভালো থাকা যায়না বললেন! তবে কি আপনি আমায় কখনও ভালোবাসবেন না রায়া?”

“ঐ যে থাকে না কিছু সংসার, দায়বদ্ধতা থেকে সংসার টিকিয়ে রাখা, মানিয়ে নেওয়া। এভাবে এভাবে চলতেই চলতেই মায়া বসে যায়, কিন্তু ভালোবাসা যায় না। আমার আপনার সম্পর্ক হয়তো এমনই হবে।”
“রায়া! আমার কি অপরাধ! আমি কি আপনার ভালোবাসা পাবো না?”
“বাদ দিন এই টপিক। পরে কথা বলা যাবে।”

রাদ চুপ হয়ে যায়। সে প্রকৃতির মাঝে একটু শান্তি খুজতে ব্যস্ত হয়ে পরে। জীবনটা এমন হলো কেনো! রাদ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। শুভলং জায়গাটা অনন্য সুন্দর। সৃষ্টিকর্তার এক অপূর্ব সৃষ্টি যেনো। চারদিক দেখলেই মনে হচ্ছে মেঘ হাত দিয়ে ছুয়ে দেওয়া যাবে৷ দুপুরের নামাজের সময় হয়ে গেছে। পাহাড়ের উপর একটা মসজিদ আছে। আজানের সুর ভেসে আসে। সে একটু শান্তির জন্য নামাজ পরতে চলে যায়। মনের অশান্তি রব ব্যতিত কেউ দূর করতে পারবেনা আপাতত। সে ইহসাসকেও ডেকে নেয়।

সময়টা দুপুর, রাদ-রা পাহাড় থেকে নিচে নেমে এসেছে। শুভলং বাজারে ঘুরছে ওরা। দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য বাজারের স্থানীয় হোটেলগুলোর একটায় বসার কথা ভাবছে ওরা। কিন্তু কোথায় বসা যায়! ঘুরতে ঘুরতেই ডাব চোখে পরে ওদের। ইহসাস বলে,
“ডাবের পানি খাওয়া যাক?”
“হ্যাঁ চল। ”

রাদ কথাটা বলে। এরপর ওরা সবাই মিলে ডাবের পানি খায়। একটা হোটেলে বসে স্থানীয় লোকের মুখে শোনা ব্যাম্বো বিরিয়ানী আর ব্যাম্বো চিকেন অর্ডার করে। চট্টগ্রাম শহরে বিশেষ ধরণের বাঁশ পাওয়া যায়। তার ভিতর প্রয়োজনীয় সব জিনিস দিয়ে তৈরি করা হয় এই খাবার। ওরা খাবার খেয়ে বের হয়। শুভলং পাহাড়ে পাহাড়িদের তৈরি বিভিন্ন রকম জিনিস পাওয়া যায়৷

পাহারী চাকমা মেয়েদের পোশাক পিনন ও হাদী আর ছেলেদের কাপড় টন্নে হানি, খুবং, ধুতি। নাতাশা জিদ করে সবার জন্য একসেট করে কিনে৷ ইহসাস ধমক দিয়েও নাতাশাকে থামাতে পারেনি। হিয়া তো খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেছে। কাপড় কিনতে কিনতে ওরা ঠিকও করে নেয় বাড়িতে গিয়ে পড়বে। নাতাশা মনে করে আনিকার জন্যও কাপড় কিনে নেয়।

বড়োদের জন্য পাহাড়িদের তৈরি বিশেষ ধরণের গাশের চাদর পাওয়া যায়। সেটা কিনে নেয়। এরপর ওরা রওনা দেয় শুভলং ঝর্ণার উদ্দেশ্যে। রিজার্ভ করা নৌকায় উঠে পরে ওরা। কিছু সময়ের মাঝেই শুভলং ঝর্ণার সীমানায় নেমে পরে। শুভলং ঝর্ণা কাপ্তাই হ্রদের কোলঘেষেই বয়ে চলেছে। এরপর পানি হ্রদে গিয়ে আ’ছরে পরে। হিয়া আগেও সমুদ্র পানি এসব দেখেছে।

কিন্তু শুভলং ঝর্ণার সৌন্দর্যই আলাদা৷ শুভলং পাহাড়ের কোলঘেষে বয়ে চলেছে শুভলং ঝর্ণা। ঝর্ণা বয়ে পরার সময় স্বচ্ছ পানি, এরপর কাপ্তাই লেকের পানির সাথে মিলে হয়ে যাচ্ছে সবুজ রঙের। পরা সৌন্দর্যে ফের একদফা মুগ্ধ হয়। বিমোহিত হয়ে শুভলং এর অপার সৌন্দর্য দেখতে ব্যস্ত হয়ে পরে। চারপাশে সবুজ গাছগাছালির ফাকে ২-১টা বানরও নজরে পরে হিয়ার। এরা এই পানির মাঝে সার্ভাইভ করে কিভাবে! হিয়া অবাক হয়। শুভলং ঝর্ণায় অনেক মানুষকে গোসল করতে দেখে হিয়া বলে বসে,

“আমরাও গোসল করবো চলো।”
ইহসাস অবাক হয়ে বলে,
“কিহ?”
“এতে এতো অবাক হওয়ার কি আছে? গোসলই করতে চেয়েছি, আপনাকে খু”ন তো করতে চাইনি!”
ইহসাস হিয়ার কথায় কি বলবে বুঝে পায়না। সে আনমনেই বিরবির করে বলে, ‘খু””ন হলেই শুধু খু”’ন হওয়া বলে! দুচোখ দিয়ে যতোবার তাকাও, তাতেই তো খু”’ন হই।”

“এই আপনার বিরবির করে কথা বলার অসুখ আছে নাকি?”
হিয়া ইহসাসকে বিরবির করতে দেখে কথাটা বলে। রায়া তখুনি চুপ করা থেকে মুখ খোলে। বল,
“হিয়া চুপ, একদম অতিরিক্ত কথা বলবিনা। কেউ গোসল করবেনা। ঘোরাঘুরি করে নৌকায় উঠো ভদ্র মেয়ের মতো। ”

“আপু প্লিজ! শুধুমাত্র ১৫মিনিট। এরপর বেশি নয়, পাক্কা প্রমিজ।”
হিয়া কাতর স্বরে বোনকে অনুরোধ করে। নাতাশাও হিয়ার সাথে তাল মহল মিলিয়ে বলে,
“ভাবী প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ চলো গোসল করি। কাপড় তো আমাদের ব্যাগেই আছে। কোনোভাবে পাল্টে নেবো।”
রাদ তার দুই বোনকে এতো বার রিকুয়েষ্ট করতে দেখে রায়াকে বলে,

“এতো করে বলছে যখন, মেনেই নিন না রায়া।”
ইহসাসও ভাইয়ের কথার সাথে সুর মিলিয়ে বলে,
“হ্যাঁ ভাবী মেনে নাও প্লিজ!”

হিয়ার মাঝে পর্ব ২৪+২৫

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ইনফরমেশন সব কালেক্ট করা একজন ভাইয়া এবং আপুর থেকে। ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন। আসসালামু আলাইকুম।

হিয়ার মাঝে পর্ব ২৭