হিয়ার মাঝে পর্ব ২০
আর্শিয়া ইসলাম হিয়া
চট্টগ্রামের বাসস্ট্যান্ডে এসে নামলো রাদ, রায়া, ইহসাস, তাইবা, হিয়া আর নাতাশা৷ সকাল আটটা বাজে এখন। আবহাওয়া মোটামুটি এখন ঠান্ডা ঠান্ডা। শরৎ পেরিয়ে শেষের দিকে। সকাল সকাল শীতের আগমনী বার্তা হিসেবে হালকা শিশির পরে মাটি ভিজা ভিজা। বাস থেকে নামার পর রাদ ফোন ঘাটছিলো।
এখান থেকে সোজা পতেঙ্গা সী বীচে যাবে তারা। একঘন্টার মতো লাগবে, রাদের বাবা পতেঙ্গা সী বীচের কাছাকাছি বাটারফ্লাই রিসোর্টের রুম বুক করে রেখেছেন। কিন্তু যাওয়ার জন্য কীসে যাওয়া যায় এটাই মোটামুটি চিন্তার বিষয়। রায়া, হিয়া নাতাশা ব্যাগ থেকে পানির বোতল বের করে চোখেমুখে পানি ছিটা দিচ্ছে। তাইবা দাড়িয়ে ফোনে কিছু একটা করছে। ইহসাস মূর্তির মতো দাড়িয়ে তাদের দেখছে। সে রাদের পাশে দাড়িয়ে জিগাসা করে,
আরও পর্ব গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
“ভাইয়া! কি করবি? প্রথমে কোথায় যাবি? ভাবলি কিছু?”
“বাবা হঠাৎ করেই সব ঠিক করে ফেলেছে। কি যে করবো! কোথা থেকে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা৷”
“তো সেটা ডিসাইড করা বাদ দিয়ে তুই ফোন ঘাটছিস?”
“দেখলাম কিছু ইনফরমেশন। কি করবো ভাবছি।”
“তুই ভাবতেই থাক।”
“তুই তো এসব আগে ঘুরে গেছিস ইহসাস। আইডিয়া দে কিছু।”
“আমি ঘুরে গেছি, চট্টগ্রাম না কক্সবাজার। আমি চট্টগ্রামে থাকিনি, তাই আই হ্যাভ নো আইডিয়া৷ তুই আমায় আনবিনা জেনেই তো কিছু প্ল্যান করিনি।”
“আমিও কিছুই ভাবিনি।”
“আপনাদের কিছু ভাবতে হবে না। যা ভাবার আমি আর নাতাশা আপু ভেবে নিয়েছি।”
টিস্যু দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে রাদ আর ইহসাসের উদ্দ্যেশ্যে কথা গুলো বললো হিয়া। রায়া এগিয়ে এসে বললো,
“কি ভেবেছিস?”
উত্তরে নাতাশা বললো,
“প্রথমে আমরা এখান থেকে চট্টগ্রামের বিখ্যাত হোটেল জামান এ যাবো। সকালের খাবার খাবো। এরপর ওখান থেকে সিএনজি বা লোকাল বাস যেগুলো পতেঙ্গা সী-বীচের উদ্দেশ্যে যায়, তাতে উঠে পরবো। এরপর সী-বীচে সূর্যাস্ত দেখবো, ভোরে সূর্যদয় দেখবো। স্ট্রিট ফুড খাবো, কেনাকাটা করবো কিছু ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্র। এরপর ওখান থেকে আনোয়ারা পারকি চরে যাবো,ঘুরবো। ওখানে ঘোরা শেষে আগ্রাবাদে আসবো। একরাত থেকে পরদিন আগ্রাবাদ শিশুপার্ক, চট্টগ্রামের জাম্বুরী পার্ক দেখে রাতে রাঙ্গামাটির জন্য রওনা দিবো। রাঙামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ দেখে আমরা বাড়ি ফিরবো।”
“বাহ দারুণ প্ল্যান।”
তাইবা এগিয়ে এসে বললো। রাদ নাতাশার কথার উত্তরে বললো,
“জামান হোটেলের তো অনেক শাখা আছে। কোনটায় যাবি?ভেবেছিস?”
“চকবাজার যেটা, ওখানে চলো৷”
নাতায়া উত্তর দেয়। ইহসাস নাতাশার চুল টেনে বলে,
“আমার পে’ত্নী বোনের মাথায় তো দারুণ বুদ্ধি।”
“তুই রা”ক্ষস, উ”জবুক একটা। পাবনা থেকে পালানো পাগল৷”
নাতাশার কথা শুনে হিয়া হালকা হেসে উঠে। ইহসাস মুখ ভেঙচিয়ে হিয়াকে বলে,
“বেয়াইন সাহেব, শুনেছি আপনার একটা বড়ো ভাই আছে। তাকেও বুঝি আপনি এসব বলেন? যার ফলে আমায় বলায় আপনি আনন্দ পাচ্ছেন?”
“আমাদের ভাইবোনের সম্পর্কের ধারা আলাদা। এরকম নয়।”
“তাহলে কি রকম?”
রাদ প্রশ্ন করে। রায়া এবার উত্তর দেয়,
“আমাদের তিন ভাইবোনের সম্পর্ক কিছুটা অগোছালো, যত্নে আগলানো। কখনও একসাথে বসে খাওয়া, কখনও একসাথে ঘুরতে যাওয়া। কখনও আছি জেনেও নিজের মতো একাকিত্ব উপভোগ করা, কখনও বা তিনজনে বসে তুমুল আড্ডা দেওয়া। আমরা ভিন্ন রকম, কেউ কারোর মতো নই। ভাইবোনের খুনশুটি কি আমরা জানিনা। আমরা কখনও মুখ ফুটে একে অন্যকে ভালোবাসি বলিনা।
কিন্তু আমরা জানি আমরা এক, আমরা একশক্তি, একে অপরের দুর্বলতা, একে অপরের ভালোবাসা। আমরা মানেই ভিন্ন কিছু, যে সম্পর্কের অস্তিত্ব আছে, যত্ন আছে। শুধু গুছিয়ে রাখার তাড়া নেই। আমরা জানি, আমরা আছি, কিন্তু আমরা নই একে-অপরের কাছাকাছি। আমরা কেউ অসুস্থ হলে গিয়ে মাথায় হাত রেখে দেখিনা তাপমাত্রা কতো। আমরা দেখি সে সুস্থ কিভাবে হবে! আমাদের সম্পর্কটাই আলাদা। রায়া, অন্তর এবং হিয়া মানেই ভিন্ন কিছু, ছন্নছাড়া, বাধনহারা।”
রাদ মুগ্ধ হয়ে রায়ার কথা শুনছিলো। হিয়া এগিয়ে এসে পেছন থেকে বোনের কাধে মাথা রেখে একহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে। নাতাশা রায়ার কথার উত্তরে বলে,
” বাহ ভাবী! তুমি তো দারুণ ভাবে কথা বলতে পারো।”
তাইবা বললো,
“সত্যিই ভীষণ সুন্দর লাগলো শুনতে।”
তাদের কথার পর ইহসাস বললো,
“তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু এখন কি খাবার দাবারের জন্য হোটেলে যাবে? নাকি এখানে দাড়িয়েই দিন শেষ করে ফেলবে? হোটেলে যাওয়ার জন্য গাড়ি তো ঠিক করতে হবে!”
রাদ বললো,
“হ্যাঁ সেটাও ঠিক৷ কীসে যাওয়া যায়! চকবাজার কতদূর! সেটা তো জানিনা।”
“স্থানীয় লোকজন আছে কি করতে! চলো জিগাসা করি?”
“আচ্ছা কর।”
রাদ উত্তর দেয়। ইহসাস ২-৩জনকে জিগাসা করে এসে বললো,
“মিনিবাস, বড়ো বাস দুটোতে করেই যাওয়া যাবে। সিএনজিও যাবে। কিন্তু বাস আসতে লেট করবে। কি করবো? সিএনজিতে তো পাচজনের সীট, আমরা আছি ছ’জন।”
“এতো চিন্তা ভাবনার কি আছে। সিএনজি নাও। এমনিতেও আমি আর হিয়া চিকন মানুষ। আমাদের এটে যাবে।”
রায়া ইহসাসের কথার উত্তর দেয়। রাদ দুজনকে দেখে ভ্রুতে স্লাইড করতে করতে বলে,
“সে তো ঠিক আছে। কিন্তু তোমরা আদৌও চিকন!”
“মানে কি বলতে চান? আমরা মোটু?”
“তা কখন বললাম। কিন্তু তোমাদের স্বাস্থ্যকে চিকন নয়, মিডিয়াম স্বাস্থ্য বলে। তুমি যদি চিকন হও, তাহলে আমার বোন নাতাশা বাতাসে উড়ে।”
রায়া ঠোট বাকিয়ে অন্য দিকে তাকায়। নাতাশা গাল ফুলিয়ে রাদকে বলে,
“ভাইয়া! আমি যথেষ্ট ভালো স্বাস্থ্যের অধিকারী।”
ইহসাস শব্দ করে হাসে। হাসতে হাসতেই বলে,
“হ্যাঁ তুই বাতাসে উড়িস। সেটা ভাইয়াও বললো।”
“আপনারা কি এখানেই গবেষণা করবেন? যাবেন না? সাড়ে আটটা বেজে গেছে অলরেডি। ক্ষুধা লাগছে।”
তাইবা কথার মাঝে ফোড়ন কে’টে বলে। হিয়াও তাল মেলায় তার কথার সাথে। ইহসাস তখন আনমনে নিজেই নিজেকে বলে,
“বাহ দুই সতিনের কি মিল। একজনের কথার সাথে অন্যজনের মত মিলে। ভালোই হবে! ত্রিকোণ প্রেমের গল্প রচনা করবো। তাইবা ভালোবাসে আমাকে, আমি ভালোবাসি হিয়াকে। হিয়া কাকে বাসে জানিনা। জানলে ফোর পিপলের গল্প রচনা করে ফেলবো। দারুণ হবে।”
“এই আপনি কি বিরবির করছেন?”
হিয়া ইহসাসকে বিরবির করতে দেখে প্রশ্নটা করে। ইহসাস বোকা বোকা চাহনীতে উত্তর দেয়,
“কই কিছু না তো।”
“তোমাদের কথা শেষ! এবার যাওয়া যাক। আমরা মানুষ নাকি এলিয়েন কে জানে! কিছু নিয়ে আলোচনা শুরু করলে ওখানেই দিনশেষ।”
নাতাশা কথাটা বলে। তখুনি রাদ বলে,
“হ্যাঁ, হ্যাঁ চলো চলো। যাওয়া যাক।”
রাদ তাড়া দেয়। সবাই নিজেদের ব্যাকপ্যাক কাঁধে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে সিএনজি খুজতে ধরে। তখনই তাদের সামনে একটি প্রাইভেট কার এসে দাড়ায়। রাদ আর ইহসাস একে অপরের মুখের দিকে তাকায়। গাড়িটা চেনা চেনা লাগছে কিন্তু এই গাড়ি এখানে! এই মুহুর্তে কি করে সম্ভব! নাতাশা গাড়ি দেখে বলে,
“বড়ো ভাইয়ার গাড়ি! এখানে কি করে? গাড়ি থেকে তো কেউ বেরও হয়না।”
নাতাশার কথা ফুরোতেই সাথে সাথে গাড়ি থেকে ফারহাদ বেরিয়ে আসে। রাদ বড়ো ভাইকে এতোদিন পর ইমোশনাল হয়ে ওখানেই জড়িয়ে ধরে। ফারহাদও ভাইকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে৷ হিয়া, রায়া কিছু বুঝতে না পেরে থম মে’রে দাড়িয়ে আছে। নাতাশা আর ইহসাস প্রচুর আনন্দে উত্তেজিত হয়ে পরেছে। তারা দুজন দুপাশ থেকে ফারহাদ আর রাদকে একসাথে ধরে বলে,
“বাহ দুই আমে দুধে মিলে গিয়ে আমাদের দুই ভাইবোনকে আটির মতো গড়াগড়ি খাওয়াচ্ছো!”
ফারহাদ হাসে, সেই হাসিতে ভাই-বোনদের কাছে পাওয়ার আনন্দ প্রকাশ পায়। রায়া বুঝতে পারে এটা তার ভাসুর। হিয়া মুগ্ধ হয়ে ওদের ভাইবোনদের আনন্দ দেখছে। ভালোই লাগছে, অন্তরকে মিস করছে সে এই মুহূর্তে। কয়দিন হলো খোজও নেওয়া হয়না। রিসোর্টে গিয়ে ফোন করবে বলে ভেবে নেয়৷ এদিকে ফারহাদ রাদ, ইহসাস আর নাতাশাকে ছাড়িয়ে বলে,
” কি জড়িয়ে ধরেই এখানেই দিন পাত করে দিবি নাকি তোরা?”
রাদ ফারহাদের কথার উত্তরে বলে,
“না ভাইয়া! কিন্তু তোমায় অনেকদিন পর দেখলাম। কিন্তু তুমি হঠাৎ এখানে? তাও এভাবে! কিছু বুঝলাম না ভাইয়া!”
“বাবা ফোন দিয়েছিলো। সবই বললো, তোরা আসবি। আর আমারও কাজ প্রায় শেষ। আজ রাতেই বাড়ি ফিরবো। তাই ভাবলাম, তোদের ঘোরাফেরার সুবিধার জন্য গাড়ি দিয়ে যাই।”
“কিন্তু এটা ড্রাইভ কে করবে!”
“ইহসাস, তুই, নাতাশা তিনজনই ড্রাইভিং পারিস। লাইসেন্সও আছে। তাহলে সমস্যা কোথায়!”
“সমস্যা সেটা নয় ভাইয়া। কিন্তু এতোদূরের পথ, ফেরার পথেটানা তেরো ঘন্টা কে ড্রাইভ করবে! আর তুমি ফিরবে কিভাবে?
” তোরা যেভাবে এসেছিস, সেভাবে।”
“মানে বাসে?”
নাতাশা কথাটা বললো। ফারহাদ হেসে বলে,
” হ্যাঁ।”
ইহসাস এবার প্রশ্ন করে,
“কিন্তু তুমি জানলে কিভাবে আমরা এসে পৌঁছেছি!”
“বাবা ফোন দিয়ে বললো। আর কাজের জন্য এখানেই ছিলাম, সেজন্য আসলাম। এমনিতেও আসার সময় ড্রাইভ করে এসে যথেষ্ট শিক্ষা পেয়েছি। তোরা তিন ড্রাইভার আছিস। টাইম ভাগ করে নিবি। এখন কথা কম বল। তোরা চলে যা, খিদে তো একেকটা চোখমুখ শুকিয়ে ফেলছিস।”
“হ্যাঁ ভাইয়া যাচ্ছি।”
বলেই রাদ গাড়ির দরজা খুলে দিয়ে রায়াকে ডাক দেয়। ফারহাদ রায়াকে দেখে বলে,
“এটা নিশ্চয় আমার আরেকটা বোন!”
রায়া ফারহাদের কথায় তাকে সালাম দেয়। ফারহাদ সালাম নিয়ে রায়ার মাথায় হাত রেখে বলে,
“সাবধানে ঘোরাঘুরি করো। নিজেদের খেয়াল রেখো।”
রায়া মাথা এদিক ওদিক করে বুঝায় খেয়াল রাখবে।এরপর ফারহাদ হিয়ার সাথেও পরিচিত হয়। তাইবার সাথে ভালোমন্দ খোজখবর নিয়ে কথা বলে। সবাই গাড়িতে উঠে বসে। রাদ আর ইহসাস সামনে বসে পরে। বসার পর গাড়ির জানালা খুলে ফারহাদকে বলে,
” তুমিও আমাদের সাথে চলো ভাইয়া। অনেক তো কাজ করলে, একটু ঘোরাঘুরি করো এবার।”
“তোরা ঘুরে আয়, এরপর তোদের ভাবীর সাথে আমি ঘুরবো। যা, আর রাস্তাঘাট তো চিনবিনা সেভাবে। জিপিএস ভালোভাবে খেয়াল করিস, আর আশেপাশে লোকজনকেও জিগাসা করে নিস৷”
রাদ আর জোড় করলোনা। ভাইকে বিদায় জানিয়ে গাড়ি স্টার্ট করলো। প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিটের মাথায় তারা চট্টেশ্বেরী রোড,চকবাজারের জামান হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের শাখায় পৌছে যায়। এক সময়ে চট্টগ্রামে ভালো মানে রেস্টুরেন্ট বলতে সবার আগে হোটেল জামানের কথা মাথায় আসতো। বর্তমান সময় অব্দি সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছে তারা। রাদ সহ বাকিরা হোটেলে ঢুকে বসে পরে। ওয়েটার এসে দাড়ায় অর্ডার নেওয়ার জন্য। মেন্যুকার দেখতে দেখতে রাদ সকলের মুখের দিকে তাকিয়ে জিগাস করে,
” কে কি কি খাবে বলো!”
হিয়া ধীর স্বরে বলে উঠে,
“নেটে দেখেছি চট্টগ্রামের মেজাবানির মাংশ খুব জনপ্রিয়। সাদা ভাত আর এটাই আপাতত খাবো।”
“আমিও এটাই খাবো। কিন্তু তার আগে চা আর পরোটা খাবো। এই হোটেলের যাত্রা এই চা আর পরোটা দিয়ে হয়েছে। খুব মজার হয়।”
নাতাশা খুশি হয়ে কথাটা বলে। ইহসাস,রায়া আর তাইবার দিকে তাকিয়ে রাদ জিগাসা করে,
“তোমরা কি খাবে?”
” খেলেই হলো, দিয়ে দাও মন মতো অর্ডার।”
চট্টগ্রামের ঐতিহ্য বাহী খাবার মেজবানির মাংশ যেটাকে চট্টগ্রামের ভাষায় বলা হয় মেজ্জান, সেই মেজ্জানও হোটেল জামানে বিশেষ আর্কষণ।তার বিশেষ বাবুর্চির মাধ্যমে এটি বানিয়ে থাকে। যেটা দেখে অন্যান্য জায়গাতেও বানানো হয়। রাদ সবার জন্য আগে এক কাপ করে চা, সাথে পরোটা, পরোটার সাথে হোটেল জামানের মিক্সড সবজি সেটা আর সাদাভাত, মেজবানির মাংশ অর্ডার করে দেয়। ওয়েটার অর্ডার নিয়ে চলে গেলে সবাই নিজেদের মাঝে গল্পগুজবে ব্যস্ত হয়ে পরে। সবার কথার মাঝেই রায়া বললো,
“একটা কথা বলতাম!”
রাদ তা শুনে জিগাসা করে,
” কি কথা?”
হিয়ার মাঝে পর্ব ১৯
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন৷ চট্টগ্রাম সম্পর্কে যা লেখা হয়েছে সবটুকুই গুগল ঘেটে আর একজন আপুর থেকে জেনে নেওয়া। সেজন্য ভুল থাকলে ধরিয়ে দিবেন। আমি সঠিক জানিনা সব তথ্য। আসসালামু আলাইকুম।